কলকাতা 

খোদ কলকাতা শহরেই অনেক এলাকায় বিএলওদের দেখা মিলছে না, কমিশনের নিয়ম না মানার দায়ে বেশ কয়েকজন বিএলওকে শোকজ করেছে কমিশন, তাতেও সংকট মেটেনি! সাধারণ নাগরিকদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের বিরোধী মনে রাখতে হবে নির্বাচন কমিশনকে!

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : জাতীয় নির্বাচন কমিশনার যতই ঢক্কা নিনাদ করুক না কেন কাজের কাজ যে কিছুই হচ্ছে না তা জলের মতো পরিষ্কার। খোদ কলকাতা শহরেই এখনো পর্যন্ত বিএল ওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআর এর ফর্ম সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা শহরের একাধিক জায়গাতেও বিএল ওরা বাড়িতে পৌঁছাচ্ছেন না ফলে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে বা নিবিড় সংশোধন অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে বলে নাগরিক সমাজ অভিযোগ করেছেন। যদিও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন আধিকারিক ও গর্ব করে নানা কথা বললেও কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে বিএলওরা কার্যত শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন যতই চিৎকার করুক না কেন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

কলকাতা শহরের একাধিক দেখা থেকে আমাদের দপ্তরে অভিযোগ এসেছে যে সেখানে সঠিকভাবে এখনো বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফরম পৌঁছে দেয়া হচ্ছে না। কে কোন এলাকার বি এল আছে? সেটা অন্তত কলকাতা শহরে নির্বাচন কমিশনের উচিত তা কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় তা জানিয়ে দেওয়া। তাতে নাগরিকদের সুবিধা হবে এবং তারা বি এল ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসবের ধার ধারছেন না তারা নিজেদের মতো করে কাজ করছে যাতে করে নাগরিক সমাজ রাস্তায় নেমে এসে তাদের কাজ বন্ধ রেখে এই সবই করতে থাকে।

Advertisement

এদিকে নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে কাজ না করার দায় বেশ কয়েকজন বি এল ওকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক দলের বিএলএদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার বদলে স্কুল ও পার্টি অফিস থেকে ফর্ম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু এলাকায়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট বিএলও-দের শো-কজ়ের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শো-কজ়ের তালিকায় কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলার বিএলও-রা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মৃতদের নামে ফর্ম দিতে তাঁদের পরিবারকে জোর করার অভিযোগে আট জন বিএলএ-র বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে কমিশন। এই ঘটনা ঘিরে প্রশাসনিক মহলের পাশাপাশি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার কথা বিএলওর। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে একটি বিশেষ সেল শুরু হয়েছে। সেখানে বিএলওদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তা করা যাবে। হেল্পলাইন নম্বরে (০৩৩-২২৩১০৮৫০) ফোন করে নাগরিকেরা তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।

এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ফর্ম বিলি ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত বাধে। জলপাইগুড়ির শিকারপুর পঞ্চায়েতের একটি বুথে বিএলও বাড়িতেই সকলকে ডেকে এনে গণনাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট (২)-কে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁরা জামিন পান। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগ, বিএলও-রা তৃণমূল কর্মীদের সহায়তায় নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ফর্ম বিতরণ করছেন। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিধাননগরে তৃণমূলের কার্যালয় চত্বরে বিএলওকে সঙ্গে নিয়ে সাংসদ কীর্তি আজাদ ফর্ম বিলি করছেন বলে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের।

এদিকে অনলাইন যে ফর্মের ব্যবস্থা করেছে তাও কাজ করছে না। সেক্ষেত্রে সরলীকরন না করার কারণে সাধারণ নাগরিকরা, সেই ফর্ম পূরণ করতে পারছে না। মোবাইল নাম্বার রেজিস্টার করতে হবে এই পদ্ধতি রাখার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না কিন্তু যেহেতু নিয়মে বলা হয়েছে ২০০২ এ যাদের নাম রয়েছে তারা প্রত্যেকেই ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে পারবে কোন নথি ছাড়াই। তা সত্ত্বেও কেন অনলাইন ফর্মে এ বিষয়টি ছাড় দেয়া হচ্ছে না তা বোঝা যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন আসলে কি চাইছেন সেটাই পরিষ্কার নয়। Blo রা বাড়িতে যাচ্ছেন না উল্টো দিকে সাধারণ নাগরিক যে অনলাইনে সেই ব্যবস্থাকে উদারীকরণ করা হয়নি। যার ফলে নাগরিক সমাজ প্রচন্ড সংকটে পড়েছে। ভোটার তালিকায় নাম তোলা কে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন যেভাবে উদর পিন্ডি বুদর ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করছে তার কথাই নিন্দা জনক। নাগরিক সমাজকে পথে নামিয়া না কোন গণতান্ত্রিক দেশে শোভনীয় নয়। দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর এর নাম করে নাগরিক সমাজকে অপমান করছে তাদেরকে রাস্তায় নামিয়ে আনছে। কোনরকম আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে এসআইআর ঘোষণা করে বি এল ওদের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ কর্মের ফলে সাধারণ নাগরিক সমাজের যে অসুবিধা হচ্ছে সেটা নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নেই।।

উল্টোদিকে নাগরিকদেরকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে যে কাজ নির্বাচন কমিশন করে চলেছে তা এক কথায় গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারের বিরোধী। কোন গণতন্ত্র দেশ সে দেশের নাগরিকদেরকে এইভাবে হেনস্থা করতে পারে না কিন্তু ভারতের নির্বাচন কমিশন সেই কাজটি করে চলেছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ